বসন্ত নয় অবহেলা – দর্পন কবির | Basanto Noy Abohela Kobita - EshoPoriBD
বসন্ত নয় আমার দরজায় প্রথম কড়া নেড়েছিল
অবহেলা।
ভেবেছিলাম অনেকগুলো
বর্ষা শেষে শরতের উষ্ণতা
মিশিয়ে এলো বুঝি বসন্ত!
দরজা খুলে দেখি আমাকে
ভালোবেসে এসেছে
অবহেলা।
মধ্য দুপুরে তীর্যক
রোদের মত অনেকটা
নির্লজ্জের মত আমাকে
আলিঙ্গন করে নিয়েছিলো
অনাকাঙ্ক্ষিত অবহেলা।
আমি চারপাশে তাকিয়ে
অবহেলা।
কেউ বলে ফালগুন, কেউ বলে পলাশের মাস, আমি বলি আমার নতুন প্রভাত । কেউ বলে দখিনা, কেউ বলে মাতাল বাতাস আমি বলি আমার দীর্ঘশ্বাস। কেউ বলে নদী কেউ তটিনী কেউ নাম দিয়েছে নাম তরঙ্গিনী - আমিতো তারে কোন নামে ডাকিনি - সে যে আমার চোখের সৌন্দর্য্যদের আবাস।
জোনাকির নাম নাকি আধাঁর মানিক, আমি তো।
সম্ভনা যে ধরায়
উদার্সি কোকিলের সুর মন ভরায়,
কৃষ্ণচূড়ায় রামগড় সামে,
সঙ্গীতের কলতান কানে বাজে।
মদন দেবের আশীর
আহিব বাসা চারিপাশ,
বউ কথা কও পাখি ডাকে
ছেলে বুড়ে সব আনন্দে মাতো
ফুল ফোটে কাননে কাননে,
বৃক্ষে নতুন প্যা-পদ্রব কাপে
সবকিছু অপরূপ লাগে।
আমায় নিয়ে যাও। কি সুন্দর হাসি তোমার..
ফুলের রানি, রূপের রানি,
কোথায় তুমি যাও ?
তোমার সাথে সঙ্গী করে..
মায়াবীতে ভরা...
তোমায় পেলে সত্যি আমি,
হব দিশে হারা।
বসস্ত যে এসে গেল, ফাগুনে মাতবে প্রিয়? টিএসসিতে তুমি গেল, আমায় সঙ্গে নিও। পড়ে এসো পাঞ্জাবিটা-হলুদ কিংবা নীল শাড়ি আমি পড়বো রেখে তোমার সাথে মিল।
কিনে দিও গজরা ফুলের ; লাগিয়ে দিও চুলে বই মেলাতেও হবে যেতে- যেওনা যেন ভুলে। বিকেল বেলা বন্ধুরা সব আসবে পুকুর পাড়ে, তখন তুমি গান ধরো এক, আমায় উদাস করে।
এ এক বস ভূমি - ছবিগয়ে দিলে এই লুসি আজও তাই মনে পড়ে অঞ্চ হিম তুমি জানিয়ে দিলে তোমার তাই বুঝি আমিও সেদিন পারিনি, দিতে তোমায় ম বলেছিলে, ভালবাসায় পাগল করে দেবে তুমি আমায় হলে আবার ফিরে পায় দেয়ার বুঝিনি ও সব, কেবল ই ছিল তোমার চার বালিয়াছিলাম দুটি হাত।
মা দুরে সরে যায় রোজ দেহে মাহি অপরা যে প্রত্যাশা রঙিন অবির, সস্তায় গান তোমার দু'চোখ মায়াবী সমর্পণে সময় পীরে বিশিত হয় মুখ জেগে থাকে । কেটে যাবে মেঘ আলোয় ভাসবে দিন একতারা সুরে স্বাগত নতুন সবুজের কাছে উদাসী মেনে চিহ্নি অনাবো তোমাকে হৃদয়ের ভাষা। ব্যবধান মুছে তিময় পারাপার প্রকৃতি সেজেছে ভালোবাসা হোক।
দুঃখের ঘনঘটা শেষে অবাক দৃষ্টি এসেআমার বেদনার আকাশে ভরা নিশ্চয়যখন ভিত্তিয়ে যায় প্রাণ মীয়ায় যাওয়া অল্প পাখি একে একে সহস্র অরাক আকাশ আমার শঙ্খনীল কার পা।
বিভ্রান্তির মায়াজাল আর কাঙ্ক্ষিত পৃথিবী হয় শেষেরূপে | রাত্রি এসে মিম একাকার দিনের শেষে অবাক পৃথিবী আমার। *** একটি কবিতা,
Also Read: কুলি মজুর কবিতা - লেখক কাজী নজরুল ইসলাম
একটি পলাশ, একটি কোকিল, তুমি আর আমি, সব মিলিয়ে আজ বসন্ত...তোমাকে জানাই.”বসন্তের শুভেচ্ছা।
ছিলাম বিষে একা এক তুমি তো দেখাতে পৃথিবীর অংশ, বাণীতে আসার নির্বিন্ধ অপেক্ষা জড়ালে তোমার মমতার চলে সব লুকালো মায়ার অগোচরে নিজের সুখ তুলে এই আমাকে একটু একটু করে বাঁচতে শেখালে।
জীবনের সমর্থক প্রিয় তুমি,সারাক্ষণ ব্যস্ত তুমি শহনেই রো। এমন সোনা বাচ্চার সুখ বাসর তাতেই সাজে, সন্তানের একটু হাসি, একটু খান সারাক্ষণই মায়ের কানে বাজে।
Also Read: বনভোজন কবিতা – গোলাম মোস্তফা | Bonvojon Kobita - EshoPoriBD
সুখ, সব আবাস গড়ে এই, পরম পাওয়া এই বুক জুড়ে তোমার আসা যাও তুমি ক্ষরা মনে আমার শান্তির তুমি পেরতাপন। তুমি ভালো থাকো আর না থাকোফালগুন আসবেই এ দেশে।
ফুল যদি ঝরে যায়, নদী যদি মরে যায় ফালগুন আসবেই এই দেশে। আলো যদি নিভে যায়, আধি যদি ছেয়ে যায়, ফালগুন আসবেই এই দেশে। তুমি যদি না-ও চাও, তিল-তিসি না-ও দাও ফালগুন আসবেই এই দেশে। বেঁচে থাকো আর না থাকো দেশে।