মূলভাব : মানুষের জীবনে পরম ও মৌলিক সত্য হলো জন্ম ও মৃত্যু। চলতে গেলে যেমন পা-তোলা ও ফেলা অপরিহায় তেমন জন্মিলেই মৃত্যু মানুষের জীবনে এক অনিবার্য সত্য হয়ে দাঁড়ায়।
সম্প্রসারিত ভাব : জন্ম-মৃত্যুর মতো অনিবার্য সত্যকে মেনে নিয়েই মানুষের জীবনের সব আয়োজন। মানুষ যেমন চলাক পথে স্বাভাবিক গতিতে পা ফেলে পা তুলে হেঁটে যায় তেমনি মানুষের জীবনে জন্ম-মৃত্যু আসে খুব স্বাভাবিক নিয়মে। মৃত উপস্থিতিকে জীবনের জন্যে অস্বাভাবিক ভাবলে চলবে না। মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করতে হবে। মৃত্যুতয়ে উ হয়ে জীবনকে গুরুত্বহীন করাটা উচিত নয়।
জীবন চলবে তার স্বাভাবিক গতিতে মৃত্যুও আসবে তার স্বাভাবিক নিয়মে বাস্তবতাটুকু মেনে নিয়েই জীবনকে বহুমুখী সার্থকতার কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে তুলতে হবে। 'জন্মিলে মরিতে হইবে এ যেমন সত্য, তেমনি 'যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ’- এও সত্য। এ দুই সত্যের মেলা বন্ধনেই মানুষকে নিজের জীবন সাজাতে হবে। তা না করে কেউ যদি মৃত্যুভয়ে জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ায়, তবে সে জীবনকে উপভোগ করতে পারবে না। বরং জীবস্মৃত হয়ে বেঁচে থাকতে হবে তাকে।
মন্তব্য: জন্ম-মৃত্যু মানুষের জীবনে চরম সত্য। এ সত্যের অস্তিত্ব মেনে নিয়েই জীবনকে সাজানো উচিত। নইলে হয়ে ওঠে স্থবির, কষ্টদায়ক ও অস্বাভাবিক।